ইনিংসের ১৩ ওভার শেষে মাত্র ৬৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। মনে হচ্ছিল, ১০০ রানের আগেই হয়তো গুটিয়ে যাবে তারা। তখনই নাসুম আহমেদকে পেয়ে চড়াও হলেন রায়ান বার্ল। ইনিংসের ১৫তম ওভারটিতে তুলে নিলেন ৩৪ রান।
নাসুমের করা সেই ওভারের প্রথম চার বলেই ছক্কা হাঁকান বার্ল। পঞ্চম বলটি অল্পের জন্য হয় বাউন্ডারি, শেষ বলে বার্লের ব্যাটে আবারও আসে ওভার বাউন্ডারি। পুরো ওভারের ছয় বলে পাঁচ ছক্কা ও এক চারে হয় ৩৪ রান। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান দেওয়ার রেকর্ড।
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ড ব্রডের করা এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৬ রান তুলেছিলেন যুবরাজ সিং। ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কান স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়ের এক ওভারেও ছয় ছক্কা হাঁকান ক্যারিবীয় মারকুটে অলরাউন্ডার কাইরন পোলার্ড।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে এটিই সর্বোচ্চ রান নেওয়ার নজির। এরপরই জায়গা করে নিলো নাসুমের আজকের ওভার। ২০২০ সালে শিবাম দুবের এক ওভার থেকেও ৩৪ রান তুলে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তবে সেই ওভারে একটি ছিল নো বল, ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান দেওয়ার রেকর্ডে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও, বাংলাদেশের এ তালিকায় সবার ওপরেই উঠে গেছেন নাসুম। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ওভারে ৩১ রান দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সেই ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ছয় হজমের পর শেষ বলে এক রান দেন তিনি।
এবার সাইফউদ্দিনকে বিব্রতকর এই রেকর্ড থেকে মুক্ত করে এক ওভারে ৩৪ রান দিলেন নাসুম। এছাড়া এক ওভারে ৩০ বা তার বেশি দেওয়ার নজির রয়েছে সাকিব আল হাসানের। জিম্বাবুয়ের রায়ার্ন বার্ল ২০১৯ সালে ও অস্ট্রেলিয়ার ড্যান ক্রিশ্চিয়ান ২০২১ সালে সাকিবের ওভারে ঠিক ৩০ রান নেন।
Leave a Reply