সিকান্দার রাজার জন্ম পাকিস্তানের শিয়ালকোটে। তার পরও কখনো চাননি ইমরান খান, ওয়াসিম আকরামদের মতো ক্রিকেটার হতে। যুদ্ধবিমানের পাইলট হতে ভর্তি হয়েছিলেন এয়ারফোর্স কলেজে।
তিন বছর পড়ার পর চোখের পরীক্ষায় পাস না করায় কাকতালীয়ভাবে ক্রিকেটার হয়ে গেছেন রাজা। জাতীয়তা বদলে হয়েছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার। সেই রাজার ঘূর্ণিতেই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে হারাল জিম্বাবুয়ে।
১৩০ রানের অল্প পুঁজিতেও ৩৬ বছরের রাজা তাঁর অফস্পিন জাদুতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৪ ওভারে খরচ মাত্র ২৫ রান। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কার তাঁরই। এই বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে জিতেছে তিন ম্যাচ, তিনটিরই সেরা খেলোয়াড় সিকান্দার রাজা।
নিজের জন্মভূমির বিপক্ষে সেরাটা খেলার প্রেরণা পেলেন কোথায়? পুরস্কার হাতে রাজা নিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি রিকি পন্টিংয়ের নাম। ২০০৩ ও ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী
অধিনায়ক ম্যাচের আগে সকালে শুভ কামনা জানিয়ে একটা ভিডিও ক্লিপ পাঠিয়েছিলেন রাজার কাছে। এটা যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না তাঁর, ‘অল্প কথায় ছোট্ট একটা ভিডিও ক্লিপ পাঠিয়েছিলেন পন্টিং।
সেটা ছিল অভাবিত আর রোমাঞ্চকর। বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করার সংকল্প ছিল সব সময়, তবে সেই ক্লিপটা ছিল আরো ভালো করার প্রেরণা। খুব কাজে দিয়েছে সেটা, ধন্যবাদ জানাচ্ছি পন্টিংকে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৮ বলে ৮২ করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সিকান্দার রাজা। এরপর স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ২৩ বলে ঝোড়ো ৪০ রানে হন দ্বিতীয়বার ম্যাচসেরা। গতকাল ব্যাট হাতে ৯ করলেও বোলিংয়ে ছিলেন দুর্দান্ত।
টানা তিনবার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে একটা বার্তাও দিলেন রাজা, ‘অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগে আমাদের অধিনায়ককে বলেছিলাম, যদি তুমি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হও, তাহলে যেই ব্র্যান্ডের ঘড়ি চাইবে কিনে দেব
কিন্তু যদি আমি ম্যাচসেরা হই তাহলে আমাকেও পছন্দের ব্র্যান্ডের ঘড়ি কিনে দিতে হবে। তাই ওকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, তিন-তিনটা ঘড়ি কিন্তু আমার পাওনা!
সিকান্দারকে তিনটা তো বটেই, বিশ্বকাপজুড়ে নিশ্চয়ই আরো বেশি ঘড়ি কিনে দিতে চাইবেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।
Leave a Reply