benefits of breast milk for a small baby.jpg

ছোট শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধের উপকারিতা

সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধের বিকল্প কোন কিছু নাই।অনেক মায়েরাই তাঁদের সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুকে বুকের দুধ পান করা থেকে বিরত রাখেন।কিন্তু তারা এটি করে যেমন নিজের ক্ষতি করছেন সাথে তার সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তানেরও ক্ষতি করছেন।কারন হয়ত তারা জানেন না একটি সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর জন্য যা যা পুষ্টি দরকার তার সবকটি উপাদান তার মায়ের বুকের দুধে বিদ্যমান।আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানব সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর জন্য কেন তার মায়ের বুকের দুধ পান করা প্রয়োজন এবং এতে কি কি উপকার হয়।

সদ্য জন্ম নেওয়ার শিশু মারা যাবার অন্যতম কারন হল জন্মের এক ঘণ্টার মধ্য শিশুকে তার মায়ের বুকের ধুধ পান না করানো।গবেষণায় দেখা গেছে যদি শিশু জন্ম নেওয়ার প্রথম এক ঘণ্টার মধ্য তাঁকে তার মায়ের বুকের দুধ পান করানো যায় তাহলে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু মারা যাবার পরিমান ২২% কমে নিয়ে আসা সম্ভব অথচ আমাদের দেশে অজ্ঞতার কারনে প্রথম এক ঘণ্টায় শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ানোর কারনে প্রায় ৪৩% শিশু জন্ম নেওয়ার প্রথম ঘণ্টাতেই মারা যায়।

যখন কোন শিশুকে তার মায়ের বুকের দুধ পান করানো হয় তখন মায়ের সাথে সেই শিশুর আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং একই সাথে সেই শিশুর শারীরিক এবং মানুষিক বিকাশ ভালো হয়।মায়ের দুধে যে উপাদান গুলো থাকে সেগুলো শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে।এছারা একটি শিশুর প্রথম ছয় মাসের জন্য যে অনুপাতে খাদ্য উপাদান প্রয়োজন সেটা সঠিক অনুপাতে থাকে মায়ের বুকের দুধে।সেই জন্য বিশেষজ্ঞরা শিশুদের প্রথম ছয় মাস অন্তত বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ প্রদান করেন।

যখন কোন শিশু জন্ম ন এয় এবং এর পরে তার মায়ের দুধে প্রথম যে হলুদ রঙের দুধ আসে তাঁকে শাল দুধ বলা হয়।এই শাল দুধে সেই শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদান থাকে।আমাদের দেশে অনেকেই এই শাল ধুধ বের করে ফেলে দিয়ে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুকে একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করেন।ফলে পরবর্তীতে সেই সকল শিশু বিভিন্ন রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব শিশুরা তাঁদের মায়ের বুকের দুধ পান করে তাঁদের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরির অনুপাত অন্য শিশুদের চাইতে বেশী।এসব শিশুদের টিকা দেওয়া হলে খুব দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।আর এই অ্যান্টিবডি শিশুদের শরীরের বিভিন্ন রকম ছত্রাক এবং অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করে।

আমরা জানি আমাদের দেহের হাড়ের গঠন ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি প্রয়োজন।আপনি জানলে অবাক হবেন যে মায়ের বুকের দুধে এই দুটি উপাদানই প্রচুর পরিমানে থাকে।সুতরাং কোন শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করালে তাঁদের হাড় এবং দাঁত অনেক বেশী মজবুত হয়।

কোন শিশু জন্ম নেওয়ার এক বছরের মধ্য মারা গেলে তাকে অকাল শিশু মৃত্যু হিসাবে ধরে নেওয়া হয়।আর এই অকাল শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারন হল মায়ের বুকের দুধ পান না করানো।এক গবেষণায় দেখা গেছে যদি কোন শিশুকে জন্মের প্রথম ছয় মাস তার মায়ের বুকের দুধ পান করানো হয় তাহলে শিশু মৃত্যুর হাড় ৫০% এ নেমে আসে।সুতরাং শিশুর অকাল মৃত্যু ঠেকাতে আমাদের সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুকে তার মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে।

এছারাও যেসব শিশুদের তাঁদের জন্মের প্রথম ছয় মাস মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হয় তাঁদের কান্সারের ঝুঁকি কমে যায়,তাঁদের চোখের কোন সমস্যা হয় না (বিশেষ করে দেখার সময় কোন সমস্যা তৈরি হয় না), যেসব শিশু মায়ের বুকের দুধ পান করে তাঁদের কখনও এলার্জি হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।এছারাও মায়ের বুকের দুধ পান করালে সে সকল শিশুর ওজন সঠিক অনুপাতে বাড়ে।

আমরা আমাদের ব্লগে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন লেখা পাবলিশ করি।আমরা এসব তথ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে সেই বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি।সুতরাং আপনি আমাদের ওয়েবসাইটের লেখাগুলো কোন রকম দ্বিধা-দন্দ ছাড়াই অনুসরন করতে পারেন।ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *