problems when they sleep less.jpg

ঘুম কম হলে তাঁদের কি কি সমস্যা হয়?

শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য পরিমিত ঘুম হওয়া প্রয়োজন।যদি ঘুম কম হয় বা একেবারেই ঘুম না হয় তাহলে আপনার শারীরিক ভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছে যারা খুব তারাতারি ঘুমাতে যায় কিন্তু বিছানায় যাওয়ার পরে এপাশ অপাশ করে সারা রাত কেটে যায় কিন্তু ঘুম আর আসে না।এই সমস্যার সমাধান হিসাবে অনেকেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমান।কিন্তু অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ নির্ভরতা আমাদের জন্য বিপদ ডেকে আনে।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো ঘুম কম হলে আমাদের মানব শরীরে কি কি সমস্যা তৈরি হতে পারে সেই সম্পর্কে।

বিশেষজ্ঞদের মতে আপনার যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে আপনার শরীরের লিভিং অরগানিজম গুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না ফলে আপনার দেহের হরমোনের সমতা নষ্ট হয়ে যায়।আর এই হরমনের সমতা নষ্ট হয়ে যাবার কারনে আপনার উচ্চ রক্ত চাপ এবং হাইপার টেনশনের মত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।সুতরাং উচ্চ রক্ত চাপ এবং হাইপার টেনশন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে।

আমরা যখন ঘুমিয়ে যাই তখন আমাদের হার্ট একটু বিশ্রাম পায় এবং সাথে আমাদের শরীরের রক্তনালী গুলোও বিশ্রাম করে।কিন্তু যখনই আমাদের ঘুম কম হয় তখন আর আমাদের হার্ট এবং রক্তনালী বিশ্রাম নেওয়ার সময় পায় না।ফলে আমাদের হার্টের সমস্যা দেখা দেয়।আপনি যদি আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সঠিক নিয়মে ঘুমাতে হবে।

রাতে আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের শরীর ইনসুলিন তৈরি করে।আর আমরা যদি রাতে না ঘুমাই বা কম ঘুমাই তাহলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে ইনসুলিন তৈরি হয়না।আর এই পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি না হওয়ার কারনে আমাদের শরীরের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

আমাদের শরীরের ঘাটতি পুরনের জন্য আমাদের ঘুমানো প্রয়োজন।আমরা যখন ঘুমাই লিভিং অরগানিজম আমাদের শরীরের ঘাটতি পূরণ করার জন্য কাজ করা শুরু করে।কিন্তু আমরা যদি না ঘুমাই অথবা একেবারেই না ঘুমাই তাহলে এই লিভিং অরগানিজম তার কাজ শুরু করতে পারেনা।ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় এবং আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।

আমরা যতক্ষণ জেগে থাকি ততক্ষণ আমাদের মস্তিস্ক কাজ করে।আমাদের মস্তিস্কের ওরেক্সিন নামের নিউরোট্রান্সমিটার আমাদের মস্তিস্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে।আমরা যখন না ঘুমায় ভা অল্প পরিমানে ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিস্কে ওরেক্সিনের উৎপাদন কমে যায় ফলে আমরা অতিরিক্ত বিষণ্ণতা, হ্যালুসিনেশনের, স্মৃতিভ্রমের মত বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পরি।

আমরা আমাদের ব্লগে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন লেখা পাবলিশ করি।আমরা এসব তথ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে সেই বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি।সুতরাং আপনি আমাদের ওয়েবসাইটের লেখাগুলো কোন রকম দ্বিধা-দন্দ ছাড়াই অনুসরন করতে পারেন।ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *