আপনার কি এমন কারও সাথে বিয়ে হয়েছে যে কিনা আগে বিয়ে করেছিল এবং সেই স্ত্রীর এক বা একাধিক সন্তান আছে?যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল শুধু আপনার জন্য।আমাদের আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করা হবে একজন সৎ মা হিসাবে আপনার দায়িত্ব এবং কর্তব্য কেমন হবে।তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের আলোচনা।
আপনি যখন কারও দ্বিতীয় স্ত্রী হয়ে আসবেন তখন স্বামীর সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি আপনার স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তানদের সাথেও ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।আপনাকে সব সময় মনে রাখতে হবে আপনি যেমন নতুন পরিবেশে এসে সবকিছুর সাথে নিজেকে মেনে নিতে পারছেন না ঠিক তেমনি আপনার স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তানরাও আপনি নতুন মানুষ বলে তারা আপনার সাথে সবকিছু মানিয়ে নিতে পারছে না।তবে আপনি যেহেতু বয়সে বড় সেহেতু আপনাকে আপনার ভালবাসার মাধ্যমে পুরো বিষয়টাকে হ্যান্ডেল করতে হবে তবেই দেখবেন ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
আপনার স্বামীর আগের সন্তানদের আপন করে নেওয়ার জন্য তাঁদেরকে আপনার ভালবাসা দিয়ে তাঁদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।যদিও এটা খুব কঠিন একটা কাজ তবে চেষ্টা করলে কোনকিছুই অসাধ্য নয়।অনেক সময় ছোট বাচ্চারা তাঁদের নতুন মায়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে ভয় পায়।
আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার ব্যাবহারে কখনও তাঁদের মনে না হয় যে আপনি তাঁদের সৎ মা।ওরা যেহেতু ওদের আগের মাকে হারিয়েছে যেকোনো কারনে সেহেতু তাঁদেরকে মায়ের অভাব বুঝতে দেওয়া যাবে না।আপনার স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তানকে নিজের সন্তান ভাব্যন কখনও তাঁদেরকে অন্যের সন্তান্ত মনে করবেন না এবং তাঁদের অবহেলা করবেন না।
আপনি আপনার স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তানদের সাথে বন্ধুত্তের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তাঁদেরকে স্কুলে পৌঁছে দিতে পারেন,আপনার নিজের হাতে তাঁদেরকে টিফিন তৈরি করে দিতে পারেন,বিকালে পার্কে বেড়াতে নিয়ে যেতে পারেন।এতে করে দেখবেন তারা তাঁদের মনের যে চাপা কষ্ট সেটা ভুলে যাবে আর আপনাকে তারা তাঁদের বন্ধু হিসাবে মেনে নিবে।
পৃথিবীর যেকোনো সন্তানই তাঁদের মাকে তাঁদের সব চাইতে কাছের বন্ধু মনে করে।যেকোনো বিষয়ে তারা তাঁদের মায়ের কাছে সাপোর্ট আশা করে।সুতরাং,তাঁদেরকে তাঁদের মায়ের অভাব কোনভাবেই বুঝতে দেওয়া যাবে না।আর ছেলে মেয়েদের বিশেষ একটি বয়সে তাঁদের মায়ের সাপোর্ট খুবই দরকারি।
তবে আপনাকে একটি বিষয় সবসময় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল, কখনও আপনার স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তানদের উপরে বেশী অভিভাবকগিরি দেখাতে যাবেন না এবং তাঁদের বেশী নজরদারিতে রাখবেন না,এতে করে তাঁদের চাইতে আপনার সমস্যাই বেশী হবে।
আপনি যদি তাঁদের উপরে বেশী অভিভাবকগিরি দেখাতে যান দেখবেন তারা আপনাকে ভয় পেতে শুরু করেছে।আপনাকে বন্ধু হিসাবে মেনে না নিয়ে শত্রু হিসাবে লিস্ট করে আপনার সাথে খারাপ ব্যাবহার শুরু করে দিয়েছে।সুতরাং,পুরো বিষয়টাকে আপনাকে অনেক বুদ্ধিমত্তার সাথে মোকাবিলা করতে হবে।
Leave a Reply