some simple ways to reduce belly fat in girls.jpg

মেয়েদের পেটের মেদ কমানোর কিছু সহজ পদ্ধতি

মেয়েদের সৌন্দর্য অনেকটা তাঁদের পেটের মাদ্ধমেও প্রকাশ পায়।কিন্তু নির্দিষ্ট একটি বয়সে এসে মেয়েদের পেটের মেদ বেড়ে যায় ফলে তাঁদের সৌন্দর্যর হানি ঘটে।এই বিষয় নিয়ে মেয়েদের দুশ্চিন্তার শেষ নাই।তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে অন্য কেউ চাইলে ম্যাজিকের সাহায্যে আপনার পেটের মেদ কমাতে পারবে না।আমরা শুধু আপনাকে দিক নির্দেশনা দিতে পারি সেটা আপনাকে মেনে চলতে হবে।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো অনুসরন করলে আপনি খুব সহজেই আপনার পেটের মেদ কমিয়ে ফেলতে পারবেন।

পেটের মেদ বাড়ার কারন হল অনিমিয়ত খাদ্যাভাস।অর্থাৎ খুদা লাগ্লেই খাবার খাওয়া।পেটের মেদ কমাতে চাইলে আমাদের প্রথমে এই অভ্যাস বর্জন করতে হবে।এর জন্য আমাদের এমন খাদ্য আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে যা আমাদের PYY হরমোন রিলিজে সহয়তা করে।কারন PYY হরমোন বেশী রিলিজ হলে আমাদের খাবারের ইচ্ছা কমে যায়।তবে আপনাকে এই খাদ্য গুলো অবশ্যই পরমিনা মত খেতে হবে তাছারা দেখা গেল অতিরিক্ত PYY হরমোন রিলিজ হবার কারনে আপনি না খেয়ে খেয়ে রোগা হয়ে যাচ্ছেন।

পেটের মেদ কমাতে আঁশ জাতীয় খাবার খেতে হবে।কারন এই আঁশ জাতীয় খাবারগুলো ক্যালরি শোষণ কমিয়ে দেয় ফলে সব সময় আমাদের পেট ভরা আছে এমনটা মনে হয়।যার কারনে আমাদের ঘন ঘন খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয় না।তবে এতাও আপনাকে পরিমান মত খেতে হবে।

আমরা জানি সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ থাকে।আর এই ওমেগা-৩ আমাদের পেটের চরব কমাতে সাহায্য করে।সুতরাং পেটের চর্বি/মেদ কমাতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই অমেগা-৩ জাতীয় খাবার খেতে হবে।তবে কোন খাবারে ওমেগা-৩ আছে সেটা খুঁজতে যেয়ে সময় নষ্ট না করে প্রচুর পরিমানে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

অনেকেই পেটের মেদ কমানোর জন্য বিভিন্ন রকমের ফলের জুস খেয়ে থাকেন।কিন্তু এতে তেমন একটা উপকার হয় না।ফলের জুস না খেয়ে আজকে থেকে আস্ত ফল খাওয়ার শুরু করুন।এতে করে ফলের রসের সাথে ফলে থাকা আঁশও আপনার শরীরে প্রবেশ করবে।

আপনি নিশ্চয় টক দইয়ের নাম শুনে থাকবেন।এই টক দই আমাদের পেটের মেদ কমাতে অপরসিম গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে।প্রতি বেলা খাবার খাওয়ার পড়ে অল্প পরিমান টক দই খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।নিয়মিত টক দই খেলে দেখবেন আপনার পেটের মেদ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।

পেটের মেদ কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস বর্জন করতে হবে।কোল ড্রিংকস বাদ দিতে হবে।খাবার খাওয়ার ২০-২৫ মিনিট পর পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।দুশ্চিন্তা কে বিদায় জানাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করতে হবে।

উপরে আলোচিত পদ্ধতিগুল নিয়মিত ৩০ দিন অনুসরন করলে আপনার পেটের মেদের পরিবর্তন আপনি নিজেই দেখতে পারবেন।এমন কোন পদ্ধতি অনুসরন করতে যাবেন না যা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর।যেমনঃ অনলাইনে এমন অনেক লেখা বা ভিডিও পাবেন যেগুলোর শিরোনাম এমন, পেটের মেদ কমিয়ে ফেলুন মাত্র ৩ দিনে/৭ দিনে ইত্যাদি ইত্যাদি।আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার পেটের মেদ যেমন দিনে দিনে বেড়েছে ঠিক তেমনি দিনে দিনে কমাতে হবে।পৃথিবীতে এমন কোন ম্যাজিক তৈরি হয়নি যা আপনাকে রাতারাতি পেটের মেদ কমিয়ে স্লিম করে দিবে।

আমরা আমাদের ব্লগে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন লেখা পাবলিশ করি।আমরা এসব তথ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে সেই বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি।সুতরাং আপনি আমাদের ওয়েবসাইটের লেখাগুলো কোন রকম দ্বিধা-দন্দ ছাড়াই অনুসরন করতে পারেন।ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *