সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর বয়স যখন দুই মাস শুরু হয় তখন তার শরীরে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন দেখা যায়।সেই সময় শিশুর অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়।কিন্তু আমাদের অজ্ঞতার কারনে আমরা বাচ্চাকে সঠিক ভাবে পুষ্টি জাতীয় খাবার সরবরাহ না করার কারনে আমাদের ছোট শিশু বিভিন্ন রকমের পুষ্টি জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়।আর এই সময় বাচ্চার কিছু অতিরিক্ত যত্ন নেওয়ার দরকার পরে।আমাদের আজকের লেখায় আমরা দুই মাসের বাচ্চার যত্ন নেওয়ার সম্পূর্ণ পদ্ধতি তুলে ধরার চেষ্টা করব।
একটি ছোট শিশু জন্ম নেওয়ার প্রথম এক বছরে তার সবকিছু একটু দ্রুত বৃদ্ধি পায়।আর এই কারনেই প্রথম এক বছরে তার জন্য অতিরিক্ত পুষ্টির দরকার পরে।যদি এই সময়ে পুষ্টির অভাব পরে তার শারীরিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে।সুতরাং শিশু জন্ম নেওয়ার প্রথম এক বছরে আমাদের খুবই সতর্কতার সাথে তার যত্ন নিতে হবে।
আপনি জানলে অবাক হবেন যে, যখন কোন শিশু জন্ম নেয় তখন সে তার ওজনের ১০% হারিয়ে ফেলে।এসময় বাচ্চাকে তার মায়ের শাল দুধ খাওয়াতে হবে।আর এই শাল দুধ যদি সতিক নিয়মে খাওয়ানো হয় তাহলে শিশু তার জন্মের প্রথম দুই সপ্তাহের ভেতরেই তার ওজন আবার স্বাভাবিক ভাবে ফিরে পায়।
কোন শিশু জন্ম নেওয়ার প্রথম দিকে বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে থাকে।শুধু খাওয়ার জন্য দিনে ২-৩ বার ঘুম থেকে জাগে।শিশুর এই অবস্থা দেখে অনেক বাবা-মা ভয় পেয়ে বসেন।কিন্তু এমনটা হলে ভয় পাবার কোন কারন নাই।কেননা যেকোনো শিশুর জন্য এটি একটি স্বাভাবিক পক্রিয়া।
আমরা যখন আমাদের ছোট শিশুকে যত্ন করি এবং সেই সময় আমাদের করা কাজ গুলোর কারনে সে তার দৃষ্টি স্পর্শ, ঘ্রাণ ও শব্দ ইত্যাদি সম্পর্কে তার ইন্দ্রিয়কে সজাগ করে।আমাদের এই সময় চেষ্টা করতে হবে তার সামনে নতুন নতুন যেকোনো কাজ করা এতে করে সে এক ঘেয়েমি বোধ করবে না।
আমাদের মাঝে অনেকেই তাঁদের বাচ্চাকে যখন খুশি তখন খাওয়ানোর অভ্যাস করে ফেলে।এমনটা করলে খাবারের অনিয়মের কারনে সে খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।আপনাকে সব সময় চেষ্টা করতে হবে তাকে প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খাওয়ানোর।এবং একই সাথে তাকে যতটা সম্ভব পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।পুষ্টিকর খাবার গ্রহনের ফলে তার শারীরিক এবং মানুষিক বিকাশ অতি দ্রুততার সাথে উন্নতি হবে।
Leave a Reply