take care young children in the winter.jpg

শীতকালে ছোট শিশুদের যত্ন নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

আর কদিন পরেই শীতকাল চলে আসবে আর শীতকাল শুরু হলেই আমাদের ছোট বাচ্চারা যেন একটু বেশীই অসুস্থ হয়ে পরে।তবে আমরা যদি শীতকালে একটু সচেতন থাকি তাহলে খুব সহজেই আমাদের ছোট শিশুদের একদম সুস্থ রাখতে পারি।মূলত আমাদের সচেতনতার অভাবের কারনেই শীতকালে আমাদের ছোট বাচ্চারা অসুস্থ ওয়ে পরে।সুতরাং আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে শীতকালে আমরা আমাদের ছোট ছোট শিশুদের সপুরন সুস্থ রাখতে পারি তথা অসুস্থ হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারি।

আমাদের মাঝে অনেকেই তাঁদের বাচ্চাদের শীতকালে গোসল করিয়ে দিতে চান না।তারা মনে করেন শীতকালে ছোট বাচ্চাকে গোসল করিয়ে দিলে তাঁদের বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লেগে অসুস্থ হতে পারে।কিন্তু আপনার জেনে রাখা উচিত শীতকাল হলেও আপনার বাচ্চাকে সবসময় পরিস্কার-পরিছন্ন রাখা দরকার।কারন এমন অনেক রোগ আছে যেগুলো শুধু অপরিছন্ন থাকার কারনেই হয়ে থাকে।সুতরাং আপনার বাচ্চাকে সবসময় পরিস্কার-পরিছন্ন রাখার চেষ্টা করুন।

শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার কারনে আমাদের ত্বক সবসময় রুক্ষ থাকে।আর ছোট ছোট বাচ্চাদের ত্বক অনেক কোমল হবার কারনে দ্রুত রুক্ষ হয়ে উঠে।আপনার শিশুর ত্বক র‍্যক্ষ হওয়া থেকে বাঁচাতে বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন রকমের ক্রিম অথবা লোশন লাগিয়ে দিতে পারেন।প্রয়োজনে আপনার শিশুর ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন রকমের বেবি ওয়েল ব্যাবহার করতে পারেন।

শীতকালে বৃষ্টি যেহেতু হয়না বললেই চলে,সেই জন্য বাহিরে ধুলা বালি একটু বেশী হয়।আর এই ধূলা-বালি আমাদের শরীরে লেগে আমাদের ত্বক রুক্ষ হয়ে উঠে।আর ছোট শিশুদের কাপড় পরালেও তাঁদের মাথা,মুখ এবং হাতের বেশীরভাগ অংশ বাহিরে থাকে,আর এই কারনে তাঁদের নিয়ে বাহিরে গেলে ধুলাবালি লেগে তাঁদেরও ত্বক রুক্ষ হয়ে উঠে।এই সমস্যা থেকে আপনার শিশুকে সুরক্ষা দিতে আপনি যখন তাকে নিয়ে বাহিরে যাবেন তখন একটা পাতলা কাপড় দিয়ে তাকে ঢেকে নিয়ে বাহিরে যান,এতে করে সে বাহিরের ধূলা-বালির আক্রমন থেকে রক্ষা পাবে।

আপনি খেয়াল করলে দেখবেন ছোট বাচ্চারা যতক্ষণ জেগে থাকে ততক্ষণ হাত-পা নাড়াচাড়া করতে থাকে এবং একটু পর পর হাট মুখে ভেতরে দেয়।এতে করে তাঁদের হাতে থাকা ময়লা তাঁদের পেটে প্রবেশ করে তাঁদের পেটের সমস্যা দেখা দেয়।এর থেকে রক্ষা পেতে সর্বদা তাঁদের হাত পরিস্কার রাখতে হবে।হাতের নখ যদি বড় হয়ে যায় তাহলে কেটে ছোট করে দিতে হবে।অনেকি আবার ডায়াপার ব্যাবহার করেন কিন্তু ডায়াপার ভিজে গেলেও অলুসতা করে দ্রুত ডায়াপার পরিবর্তন করেন না।এর কারনে আমাদের বাচ্চাদের শরীরে র‍্যাশ হবার সম্ভবনা বেড়ে যায়।সুতরাং, ডায়াপার ভিজে গেলে যত দ্রুত সম্ভব সেটা পরিবর্তন করে দিতে হবে।

অনেক সময় শীতকালে বাচ্চাদের ঠাণ্ডার সমস্যার কারনে নাক বন্ধ হয়ে আসে।এমন সমস্যা হলে ভয় না পেয়ে বাজারে যে নাক বন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার নাকের ড্রপ কিনতে পাওয়া যায় সেটা দিনে দুই বার ব্যাবহার করতে হবে।বিশেষজ্ঞরা বলেন বাজারে যেসব নাকের ড্রপ কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো ব্যাবহারে বাচ্চার কোন ক্ষতি হবার সম্ভবনা নেই।

শীতকালে আপনার ছোট শিশুকে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করতে চাইলে অবশ্যই তাকে আপনার বেশী বেশী ভিটামিন সি আছে এমন খাবার খাওয়াতে হবে।তবে তার জন্য শীতকালে একটি সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করা যেতে পারে।আর সব সময় মনে রাখতে হবে ছোট শিশুর জন্য তার মায়ের বুকের দুধের কোন বিকল্প নাই।ছোট শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধের উপকারিতা সম্পর্কে একটি লেখা এখানে লিখেছিলাম,আপনি সেই লেখা এখান থেকে পড়তে পারবেন।

আমরা আমাদের ব্লগে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন লেখা পাবলিশ করি।আমরা এসব তথ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে সেই বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি।সুতরাং আপনি আমাদের ওয়েবসাইটের লেখাগুলো কোন রকম দ্বিধা-দন্দ ছাড়াই অনুসরন করতে পারেন।ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *