বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলেন আপনি যদি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত বিভিন্ন ফল খেতে হবে।আমাদের পরিচিত সব ফলই প্রচুর পুষ্টি গুনে ভরা থাকে যা কেহেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে।এখন আমড়ার সিজন,বাজারে গেলেই এই সবুজ ফলের দেখা মিলে।তবে অনেকেই এই আমড়া খেতে পছন্দ করেন না।তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে দামী ফল আপেলের চাইতে সস্তা এই ফলে বেশী পরিমানে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে।আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো আমাদের অতি পরিচিত ফল আমড়া আমাদের কি কি উপকার করে।
খেতে একটু টক এবং মিষ্টি স্বাদের কারনে অনেকেই এই ফল খেতে চান না।আমড়া আপনি চাইলে কাঁচাই খেতে পারবেন আবার চাইলে বিভিন্ন রকমের চাটনি,আচারও তৈরি করে খেতে পারবেন।তবে বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকায় এই ফল তরকারি হিসাবে খাওয়া হয়।আমি নিজে বরিশালের মানুষদের আমড়াকে তরকারি হিসাবে রান্না করে খেতে দেখেছি।এটা হতে পারে বরিশাল আমড়ার জন্য বিখ্যাত সেই কারনে।যাক সেই আলোচনায় আমরা না যাই।
গবেষণার তথ্য মতে, আমড়া আমাদের দাঁতের বিভন্ন রকম সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।আবার আমাদের খাবার খেতে অরুচি হলে আমড়া খেলে আমাদের খাবারের রুচি ফিরে আসে।এছারাও যখন আমাদের শরীরে ভাইরাস জনিত কোন প্রকার সংক্রামন শুরু হলে আমড়া তা প্রতিরোধ করতে পারে।
আপনার যদি শরীরে রক্ত সল্পতার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আজকে থেকে নিয়মিত আমড়া খাওয়া শুরু করুন।দেখবেন আপনার রক্ত সল্পতার যে সমস্যা ছিল তা ধীরে ধীরে সমাধান হতে শুরু করবে।আমড়াতে থাকা প্রাকৃতিক আয়রন আমাদের শরীরের রক্ত সল্পতার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
আপনার যদি সারা বছর কফ লেগেই থাকে তাহলে আজকে থেকে একটু একটু করে আমড়া খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন,দেখবেন আপনার কফের সমস্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।এছারাও আমড়া আমাদের পিত্তথলির বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
আমাদের মাঝে অনেকেরই কয়েকদিন পর পর মুখের রুচি নষ্ট হয়ে যায়।ফলে অনেক ভালো খাবার তাঁদের সামনে প্লেটে দিলেও তারা রুচির অভাবে খেতে পারেন না।আবার এমন অনেকেই আছে তাঁদের ক্ষুধা লাগে না ফলে তাঁদের খাবারের প্রতি তেমন আকর্ষণ থাকে না।যাদের এই সমস্যা তাঁদের পরিমাণ মত আমড়া খাওয়া শুরু করতে বলেন আর ম্যাজিক দেখেন।
আপনার যদি বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থাকে তাহলে আজকে থেকে নিয়মিত আমড়া খাওয়ার অভ্যাস করুন,দেখবেন আপনার বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে এবং এভাবে কিছুদিন আমড়া খাওয়ার অভ্যাস ধরে থাকলে দেখবেন আপনার বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা চিরতরে দূর হয়ে গেছে।
আমাদের মাঝে অনেকের শরীরের কোথাও কেটে গেলে দেখবেন সহজে রক্ত জমাট বাঁধতে চায় না।যদি আপনার নিজের এই সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত আমড়া খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।কারন আমড়া আমাদের শরীরের রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।এছারাও আমড়াতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এবং আমড়া ভালো ক্যালসিয়ামের উৎস।
Leave a Reply