Why should cumin be eaten regularly.jpg

কেন নিয়মিত জিরা খাওয়া উচিত?

জিরাকে আমরা একটি সুগন্ধি মশলা হিসাবেই জানি।প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের দেশে রান্নাতে জিরার ব্যাবহার হয়ে আসছে।কিন্তু আপনি জানেন কি এই জিরার রিয়েছে জাদুকরী কিছু ঔষধি গুন।আমাদের পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমধান করার পাশাপাশি জিরা আমাদের শরীরের আরও কিছু উপকার করে থাকে।আজকের আর্টিকেলে আমরা জিরার সেই অজানা উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের আলোচনা।

আপনার বাড়িতে যদি কোন গর্ভাবতী নারী থাকে তাহলে আপনি নিশ্চয় দেখেছেন তাঁদের প্রায়ই পেটের সমস্যা দেখা দেয়।এর থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য আপনি সেই নারীকে অল্প পরিমাণ জিরা খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করতে পারেন।আবার গর্ভাবতী মেয়েদের আরও একটি কমন সমস্যা হল তাঁদের মাথা ঘোরা স্বাদ হীনতা ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তাঁদেরকে এক গ্লাসের অর্ধেক পরিমাণ দুধু নিয়ে তাতে একটু জিরা এবং মধু মিশিয়ে কয়েকদিন পান করালে সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে।ভয় পাবেন না জিরা খেলে গর্ভাবতী নারিদের অন্তত কোন ক্ষতি হবে না।

আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলসের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আজকে থেকে নির্দিষ্ট নিয়মে জিরা খাওয়া শুরু করুন।কারন জিরা আমাদের শরীরের এনজাইমের ক্ষরণ বাড়ানোর কারনে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হয়ে যায়।কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে এক চামচ জিরা প্রথমে ভেজে নিয়ে পাউডার তৈরি করে নিতে হবে এরপর সেই পাউডার একটি গ্লাসে পানি মধ্য রাতে ভিজিহয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিতে হবে।এভাবে কিছুদিন নিয়মিত জিরার পাউডার পানিতে ভিজিয়ে পান করলে দেখবেন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলসের সমস্যা একবারে ভালো হয়ে যাবে।

আমাদের মধ্য অনেকের মাথার চুল অনেক রুক্ষ।যদি আপনার চুল রুক্ষ হয়ে যায় তাহলে নির্দেশিত নিয়মে জিরা ব্যাবহার করলে আপনার চুল হয়ে উঠবে আরও আকর্ষণীয়।চুলের রুক্ষভাব দূর করার জন্য আপনাকে এক গ্লাস পানির সাথে এক চামচ জিরার পাউডার এবং একটি ডিমের কুসুম দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।পেস্ট তৈরি করার পরে সেই পেস্ট আপনার চুলে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে আপনার চুল পরিস্কার করে নিতে হবে।তাহলে দেখবেন আপনার চুলের হারানো সৌন্দর্য ফিরে এসেছে।তবে এই পদ্ধতি সপ্তাহে একবারের বেশী প্রয়োগ করা যাবে না।

আপনি হয়ত পূর্বে শুনে থাকবেন আমাদের মস্তিষ্কে মেলাটোনিন নামে একধরনের কেমিক্যালের ক্ষরণের কারনে আমাদের চোখে ঘুম চলে আসে।আর এই মেলাটোনিন যদি সঠিক পরিমানে ক্ষরণ না হয় তখন আমাদের ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে এক চামচ কলার সাথে (কলা চটকিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে) অর্ধেক চামচ জিরার পাউডার মিশিয়ে কয়েকদিন খেলে আপনার ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।কারন জিরা আমাদের মস্তিস্কে মেলাটোনিন কেমিক্যালের ক্ষরণ বাড়াতে সাহায্য করে।

এছারাও আমাদের পরিচিত মশলা জিরাতে এমন কিছু উপাদান আছে যা আমাদের শরীরের ঠাণ্ডার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে।এছারাও জিরাতে অনেক আঁশ থাকে যা আমাদের দেহের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধানে কাজ করে।সুতরাং, আজকে থেকে এই জিরাকে শুধু মশলা হিসাবে না দেখে রোগ প্রতিরোধকারী হিসাবে ব্যাবহার করা শুরু করুন।

আমরা আমাদের ব্লগে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন লেখা পাবলিশ করি।আমরা এসব তথ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে সেই বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি।সুতরাং আপনি আমাদের ওয়েবসাইটের লেখাগুলো কোন রকম দ্বিধা-দন্দ ছাড়াই অনুসরন করতে পারেন।ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *