Foods that help reduce belly fat.jpg

পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে যে খাবার গুলো

পেটের মেদ কমানোর জন্য আমড়া কত কিছুই না করি।এই যেমন ধরুন খাবার খাওয়া কমে দেই,নিয়মিত হাঁটা-হাঁটি করি,বিভিন্ন রকম ব্যায়াম করি ইত্যাদি ইত্যাদি।কিন্তু এক জরিপে দেখা গেছে বেশিরভাগ মানুষ তার শরীরের যেকোনো অংশের মেদ কমানোর জন্য সঠিক নিয়ম ফলো না করেই চেষ্টা করতে থাকে।যার ফলাফল মেদ ত কমেই না বরং ভুল পদ্ধতি অনুসরন করার কারনে তাঁদের স্বাস্থ্য হানি ঘটে।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এমন কিছু খাব্রের নান জানবো যেগুলো নিয়মিত আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখলে অল্প কিছুদিনের মধ্য আমাদের পেটের মদ কমে যাবে।তাহলে চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

পেটের মেদ অথবা শরীরের ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে বেশী বেশী ফল এবং সবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।কারন সবজি এবং ফলে প্রচুর পরিমান মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ফাইবার থাকে।আর আমরা জানি যে,মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ফাইবার আমাদের শরীরের কলেসট্রোরল এবং চরব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।আবার আমরা প্রতিনিয়ত যেসব খাবার খাই সেই খাবার গুলোতে যে ফাইবার/আঁশ থাকে সেগুলো আমদের শরীরের চর্বি কে ধরে ফেলে এবং পায়খানা অতবা প্রস্রাবের সাথে বাহিরে বের করে দেয়।আবার মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ফাইবার আমাদের অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমাতে সাহায্য করে।আপনাকে প্রতিদিন অন্তত ৩-৪ রকমের ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে তাহলেই দেখবেন আপনার পেটের বা শরীরের মেদ অনেকটা কমে গেছে।

পেটের মেদ কমানোর জন্য আপানাকে প্রতিদিন সবুজ চা পান করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।নিয়মিত সবুজ চা পান করলে দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার শরীরের মেদ কমতে শুরু করেছে।কারন সবুজ চায়ে প্রচুর পরিমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের চরব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আমরা শরীরের মেদ কমাতে যেয়ে প্রথমেই যে ভুল করি তা হল আমাদের খাবারের তালিকা থেকে ফ্যাট জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ রুপে বাদ দিয়তে দেই।যা মটেও ঠিক নয়।শরীরের জন্য অন্যান্য উপাদান যেমন প্রয়োজনীয় ঠিক তেমনি ফ্যাট জাতীয় খাবারেরও দরকার আছে।শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রন রাখার জন্য অবশ্যই আপনার খাবারের তালিকা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা জরুরী।

খাবের তালিকায় পরিমান মত বীজ জাতীয় খাবার যেমনঃ বাদাম,কুমড়ার বীজ,শিমের বীজ ইত্যাদি রাখতে হবে।কারন এসব বীজ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমানে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা আমাদের শরীরের রক্ত থেকে ক্ষতিকর কলেসট্রোরল বের করে দিয়ে আমাদের শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে।আবার আপনি ওজন কমানোর জন্য চাইলে নিয়মিত পরিমানমত অলিভ ওয়েল খেতে পারেন।

আপনি নিশ্চয় দেখেছেন কিছু কিছু মানুষ প্রচুর পরিমানে সামুদ্রিক মাছ খায়!কিন্তু কখনও কি ভেবেছেন কেন তারা এই খাবারের প্রতি এত আসক্ত?কারন সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা আমাদের শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে।সামুদ্রিক মাছে যে উপদান থাকে তার নাম পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট।বাদাম এবং জলপাই তেলেও এই উপাদান বিদ্যমান থাকে।

আমরা প্রতিদিন আমাদের তরকারীতে যে মশলা গুলো ব্যাবহার করে থাকি তাতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।আর আমরা উপরেি জেনেছি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে।আপনার যদি তরকারীতে ব্যাবহার করা মশলা ফেলে দেওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে আজকে থেকে অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন।আজকে থেকে তরকারীতে যত মশলা পাবেন সব খাওয়া শুরু করুন আর এক মাস পর পরিবর্তন দেখে এই পোস্টে আমাকে ধন্যবাদ জানান।

আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পরিমান মত পানি পান করতে হবে।কারন পানি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর উপাদন গুলো বের করতে সাহায্য করে এবং পানি আমাদের কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।তবে আমরা পানি পান করতে যেয়ে অনেকেই অতিরিক্ত পানি পান করি যা আবার আমাদের কিডনির জন্য ক্ষতিকর।একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন অন্তত ৪ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন।এছারাও ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই আমাদের আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।তবে অবশ্যই সব খাবারই খেতে হবে সঠিক নিয়ম অনুসরন করে।

আমরা আমাদের ব্লগে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন লেখা পাবলিশ করি।আমরা এসব তথ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে সেই বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি।সুতরাং আপনি আমাদের ওয়েবসাইটের লেখাগুলো কোন রকম দ্বিধা-দন্দ ছাড়াই অনুসরন করতে পারেন।ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *