সর্বশেষঃ

পাকিস্তানকে হারিয়ে জিম্বাবুয়ের চমক। শেষ বলের সমীকরণে জিম্বাবুয়ের ইতিহাস

জিম্বাবুয়ের ১৩০ রানের অল্প পুঁজি, এরপর পেস তোপে পাকিস্তানের ধুঁকতে থাকা। শেষ দিকে টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শান মাসুদ। সিকান্দার রাজা নিয়েছেন ৩ উইকেট।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে জিম্বাবুয়ের পেস তোপে পড়ে পাকিস্তান। ১৩ রানে বাবর আজম, ২৩ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ৩৬ রানে ইফতিখার আহমেদের উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ইনিংস ধরে খেলতে থাকেন শান মাসুদ। তার সঙ্গে শাদাব খান গড়েন ৫২ রানের জুটি। শাদাব বিদায় নেন সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে। শাদাব করেন ১৭ রান। একই ওভারের পরের বলে রাজা শিকার করেন হায়দার আলির উইকেটও।

অ্যাংকরিং করতে থাকা শান মাসুদ ফিরে যান সেই রাজার বলে। ৩৮ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন এ ব্যাটার। এরপর হারের শঙ্কা ঝেঁকে বসে পাকিস্তান শিবিরে। নেওয়াজ আউট হন ২২ রানে, ওয়াসিম করেন ১২ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন রাজা, ব্রাড ইভান্স নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান ব্লেজিং মুজারাবানি ও লুক জংউই।

এর আগে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৩০ রানের অল্প পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয় প্রথম দুই ওভার শেষে তুলে ২৩ রান। ৪ ওভার শেষে বিনা উইকেটে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৮। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ১৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে থাকা ক্রেগ আরভিনের উইকেট তুলে নেন হারিস রউফ। মোহাম্মদ ওয়াসিম নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে তুলে নেন আরেক ওপেনার ওয়েসলে মেধেভেরের উইকেট। ১৩ বলে মেধেভেরে করেন ১৭ রান।

২ উইকেট হারিয়ে রানের চাকা ধীরগতির হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের। এরমধ্যে দশম ওভারে শাদাব খানের শিকারে পরিণত হন মিল্টন শুম্বা। এরপর ৩১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামস। উইলিয়ামস প্যাভিলিয়নে ফেরেন শাদাব খানের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে। ২৮ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। শাদাবের পরের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন রেজিস চাকাভা। বলের লাইন বরাবর শিকারির মতো চোখ রেখে সেই ক্যাচ এক হাতেই লুফে নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।

এরপর সিকান্দার রাজার ব্যাটে আশা দেখছিল জিম্বাবুয়ে। আগের চার ম্যাচে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৩৬ রান। তবে এদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। ওয়াসিমের বলে স্কয়ার লেগে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন তিনি। পাকিস্তানি পেসার পরের বলে লুক জংউইয়ের উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত আর হ্যাটট্রিক হয়নি তার। শেষ দিকে রায়ান বার্ল ও ব্রাড ইভান্সের জুটি থেকে আসে ৩১ রান। ইভান্স আউট হন ১৫ বলে ১৯ রান করে। বার্ল করেন ১০ রান। পাকিস্তানের বাকিদের মধ্যে হারিস রউফ নিয়েছেন এক উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *